August 03,2015

দি বুড্ডিস্ট টাইম অনলাইন পেপারে প্রকাশিত “বৌদ্ধ সমিতি ও ভিক্ষু জিনবোধি’র বিরোধঃ পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বুদ্ধ মন্দিরে তালা নিয়ে জিনবোধি ভিক্ষু’র লঙ্কা কাণ্ড” শিরোনামে সংবাদের প্রত্যুত্তর।

বদি বুড্ডিস্ট টাইম অনলাইন পেপারে প্রকাশিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমায় নিচ তলার ঐতিহাসিক বুঁড়া গোসাই মন্দিরে তালা বন্ধ করিনি বলে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ন্ মিথ্যা শুধু নয় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার সমতুল্য। সে পবিত্র দিনে ড. ভিক্ষু প্রতি বছরের ন্যায় নীচের মন্দিরে গিয়ে অসংখ্য উপাসক-উপাসিকাদেরকে নিয়ে ধর্মীয় কার্যাদি পরিচালনা করেন। কিন্তু উপাসক-উপাসিকারা উপরে এসে বললেন নিচের মন্দিরে তালা লাগানো হয়েছে। সমিতির অনুমতি ছাড়া তালা খোলা যাবে না বলে মন্তব্য করাতে সবাই গিয়ে ড. ভিক্ষুকে বলেন ভন্তে নিচে মন্ত্র দিতে হবে না, আমরা সবাই উপরের হল ঘরে মন্ত্র নেব। যথা সময়ে ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে ভিক্ষু সংঘেরা পিণ্ডদান গ্রহনেরত ছিলেন।


এমতাবস্থায় নিচের মন্দিরে তারা রাগিয়েছে কিনা, নিচের ছবি তার প্রমাণ দেখা যায়। বিহারের তালাচাবি গৃহী সমতির একত্তিয়ারে থাকবে না কি? বিহারের চাবি ভিক্ষুসংঘের দায়িত্বে থাকবে সুধীজন এর জবাব দেবেন। তালা লাগানো সংক্রান্ত ব্যাপারে ভিক্ষুশ্রমণদেরকে জিজ্ঞাসা না করে সমবেত দায়িক-দায়িকার কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। ক ্ষমতা বেশী দিন স্থায়ী নয়। ক্ষমতার দাপট বিহারে না দেখিয়ে পরিবারে ও সমাজে দেখালে পরিবার ও সমাজ অনেক উপকৃত হবে। নেতাদের ক্ষমতার দাপট বিহার ও ভিক্ষু সংঘের উপর নয়। হওয়াও মঙ্গলজনক নয়। বৌদ্ধ সমিতি বহুকাল থেকে এজাতীয় ক্ষমতার আস্ফালন দেখিয়ে আসছেন, এ বিষয়ে সবাই অবগত। তারা যে মন্দিরে তালা লাগাচ্ছে তা নয় ভিক্ষুদের আবাস কক্ষেও পূর্বের তালা ভেঙ্গে নিজেদের তালা লাগিয়ে রেখেছেন। তা নিচের ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন। তদুপুরি বিগত কয়েক বছর আগে সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক এবং অত্র বিহারের প্রধম অধ্যাপক শ্রীমৎ ধর্মবংশ মহাস্থবিরের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত “চিন্তামনি লাইব্রেরী” তে সংরক্ষিত মূল্যবান গ্রন্থাবলি সম্বলিত আলমিরা গুলির পূর্বের তালা রাত্রে ভেঙ্গে (বিহারের উপাধ্যক্ষ, ভিক্ষু-শ্রমণগণ বাঁধা দেয়া সত্বেও) সমিতির কর্মকর্তাগণ সম্মিলিত ভাবে নিজেদের তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এখনও আলমিরার তালালাগানোর ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন। উক্ত লাইব্রেরীতে ড. ভিক্ষুর দেশ-বিদেশের সেমিনারের স্বারক গ্রন্থ লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যবান গ্রন্থাদি আটকিয়ে রেখেছে। নিরপেক্ষবাবে তদন্ত করলে ড. ভিক্ষুর অসংখ্য বই আসে কি নেই সন, তারিখ হ প্রমাণ মিলবে। ১৯৯৮ ইং থেকে ক্রমাগত পনের বছর উক্ত লাইব্রেরী সংরক্ষণ, দেখাশুনা ও তালাচাবি ড. ভিক্ষুর তত্ত্বাধানেই ছিল। আরো উল্লেখ্য যে বিগত কয়েক বছর আগে ড. ভিক্ষু অসংখ্য উপাসক-উপাসিকাদের হল ঘরে ধর্মীয় কার্যাদি পরিচালনা করতে গিয়ে জুতা পায়ে পুলিশ ঢুকিয়ে এবং সমিতির কর্মকর্তাগণ জোরপূর্বক ড. ভিক্ষুর চেয়ার উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্মের উপর কারা আঘাত এনেছিল আপনারাই বলুন। এব্যাপারে সর্বস্তরের উপাসক-উপাসিকাগণ সম্মিলিত ভাবে মানববন্ধন, প্রেসকনফারেন্ট এর মাধ্যমে উক্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা, ক্ষোপ, ধিক্কার এবং সমিতির কর্মকর্তাদের বিচারদাবী করেছিলেন। তৎসময়ের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এ নির্লজ্জ মিথ্যাচারের শেষ কোথায়” প্রকাশিত গ্রন্থটি গবেসণা এবং পাঠ করলে অনেক ঐতিহাসিক ও সমিতির কর্মকর্তাদের দুর্বৃত্তায়ণ সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জেনে নেবেন। দি বুড্ডিস্ট টাইম অনলাইন পেপারে সম্পাদক মহোদয় সত্য উদঘাটন করুণ। সত্য কথাটা লিখতে সাহসী হোন। প্রত্রিকার গুণগত মানবাড়বে আপনার মেধাও মননের বিকাশ ঘটবে। সত্য মেব জয়তে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: উল্লেখীত ছবি সহ নিউজটি প্রকাশ করলে অপনার সমাজ ও সদ্ধর্ম সেবার আসল পরিচয় ফুটে উঠবে। তৎজ্জন্য কৃতজ্ঞ হবো।

Top